নীলফামারী
জেলার ডিমলা উপজেলায় গত ২রা ডিসেম্বর কৃষকদের মাঝে ধান ক্রয় সংগ্রহের লটারী কার্যক্রম শুরু করেন। অফিস সূত্রে জানা যায় ডিমলা উপজেলায় ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে মোট ধান সংগ্রহ ২২৮৮ মেঃটন এর মধ্যে ডিমলা সদর ইউনিয়নে ৩১৪ মেঃটন, খগা খড়িবাড়ী ইউনিয়নে ১৮৩ মেঃটন, পশ্চিম ছাতানাই ইউনিয়নে ২০০ মেঃটনঃ, পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের ১৩১ মেঃটনঃ, নাউতারা ইউনিয়নে ২৭৩ মেঃটঃ, বালাপাড়া ইউনিয়নে ২৯৩ মেঃটন, গয়াবাড়ী ইউনিয়নে ১৮০ মেঃটনঃ, টেপা খড়িবাড়ী ইউনিয়নে ১৮৩ মেঃটন, ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়নে ২৫৬ মেঃটন, খালিশা চাপানী ইউনিয়নে ২৯৫ মেঃটন বরাদ্দ থাকায় ৮ ডিসেম্বর খাদ্য গুদামে সরাসরি প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র-মাঝারী কৃষকের কাছ থেকে ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরের অভ্যন্তরীন আমন ধান সংগ্রহের শুভ উদ্বোধন করেন
বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ তবিবুল ইসলাম, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নুর-ই-আলম সিদ্দিকী, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবীদ সেকেন্দার আলী, উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিমাংশু কুমার রায় উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ আনোয়ারুল হক সরকার মিন্টু সহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন। ধান সংগ্রহের ব্যাপারে মাঠ পর্যায়ে অনুসন্ধান পূর্বক জানা যায় স্ব-স্ব ইউনিয়নের বি.এস যে তালিকা প্রস্তুুত করেছেন তাদের মধ্যে প্রকৃত কৃষকদের নাম বাদ দিয়ে অসাধু কিছু ধান ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগসাযোসে হয়ে ভূমিহীন এবং বর্গাচাষী ও ৫-১০ শতক জমির মালিকদের গণহারে তালিকায় অর্ন্তভূক্ত করে বিভিন্ন কৌশলে লটারীর বিজয়ী করে ও উপজেলা কৃষি অফিসার সেকন্দার আলীর সহযোগীতায় ডিমলা বিভিন্ন ধান ব্যবসায়ীর কাছে আমন ধান সংগ্রহের প্রতি স্লীপ বাবদ ৩-৪ হাজার টাকায় বিক্রি করে ব্যবসায়ী ও স্লীপ ধারীর নিকট হইতে কিছু অসাধু কর্মকর্তা টাকা আত্মসাৎ করিতেছেন। এ বিষয় আব্দুল কাদের পিতা- মৃত: এশার উদ্দিন, সাং- উত্তর তিতপাড়া বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করিলে অভিযোগের প্রেক্ষিতে সংবাদকর্মী ডিমলা উপজেলা সোনালী ব্যাংক, রূপালী ব্যাংকে গোপনে তদন্ত করে দেখে ঐ ¯িøপধারী মানুষদের অসাধু ব্যবসায়ীরা একাউন্ট খুলে চেক হাতিয়ে নিচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে ডিমলা খাদ্য গুদামের কর্মকর্তা হিমাংশু কুমারের সহিত কথা বললে তিনি বলেন এই সব বিষয়ে আমাদেরকে বলে কোন লাভ নেই কারন উপজেলা কৃষি অফিসের কর্মকর্তা/কর্মচারীরাই ভালো জানেন। গত ২৬ ডিসেম্বার সন্ধ্যায় হঠাৎ পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়ন পরিষদ গিয়ে দেখিতে পাই রবিউল ইসলাম করিম , আনসার ভিডিপি কমান্ডার ও হারুন নামে একজন ব্যক্তি প্রায় ৪০/৫০ টি রূপালী ব্যাংকের একাউন্টের কাগজ প্রস্তুুত করিতেছেন। তাহাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় সেগুলো আমন ধান ক্রয়ের ¯িøপ। ইতিপূর্বে সেগুলো বিক্রি হয়েছে ডিমলার ধান ব্যবসায়ী জহির, নূর আলম, ফরিদুল। গয়াবাড়ী ইউনিয়নের মানিক বাবু, আবু ইছাহাক, খগা খড়িবাড়ী ইউনিয়নের টুনিরহাট আলো, নাউতারা ইউনিয়নের সামছুল হক নামে ধান ব্যবসায়ীরা স্লীপ ক্রয় করে নিজ ইচ্ছামত ধান খাদ্য গুদামে তুলছেন। বিভিন্ন ইউনিয়নের কৃষক যেমন- আব্দুল কাদের, লুৎফর রহমান, তইবর রহমান, মনিরুজ্জামান মানিক, রাব্বানী, মোতালেব, জাহাঙ্গীর, হাবিব, বলেন কৃষি অফিসারের যোগসাযোসের কারনে আমরা প্রকৃত কৃষক হওয়ায় স্বত্তে¡ও কৌশলে আমাদের কৃষি স্লীপ হইতে বঞ্চিত করেন। অপর দিকে জানা যায় কৃষি অফিস থেকে প্রদর্শনী যে সকল ধান,গম,ভুট্টা ও সরিষা বীজ, সার পাওয়া যায় সেটাও কিছু সংখ্যক ইউ.পি সচিব ও বি.এস সহ কৃষি অফিসের যোগসাযোসে সাধারন মানুষের মাঝে নামে মাত্র বিতরণ করে বাকী সব লুৎপাট করে খাচ্ছেন। উক্ত বিষয়ে সংবাদকর্মী ডিমলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবীদ সেকেন্দার আলীর সাথে কথা বললে তিনি রাগান্নিত হয়ে বলেন আমরা যা করেছি ঠিক করেছি ইহাতে আপনাদের কিছু করার থাকলে করে দেখান এবং বিভিন্ন ধরনের অশোভনীয় আচরন সহ বিভিন্ন লোকমারফত মোবাইল ফোনে সংবাদ দাতাকে হুমকি দিয়া আসিতেছেন। ইহাতে সরকারের ভাবমূর্তী ক্ষুন্ন হইতেছে মর্মে এলাকার প্রকৃত কৃষক ও সুধী সমাজ বলেন তদন্ত সাপেক্ষে উদ্বর্তন কর্তৃপক্ষের নিকট দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য নেকদৃষ্টি কামনা করিতেছেন।
Post a Comment