ডিমলায় তিস্তা নদীর চরে মিষ্টি কুমড়ার বাম্পার ফলন

 নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার তিস্তা নদীর চরে মিষ্টি কুমড়ার বাম্পার ফলন হওয়ায় কৃষকের মনে আনন্দ। তিস্তা নদীর বুকচিরে জেগে ওঠা বালুচরে গেলে নয়ন জুরিয়ে যায় চার দিকে শুধু বালুর বদলে সবুজ ফসলের সমাহার। এক সময় স্রোতিণী তিস্তা নদীর বুকে পানির ঢেউ খেলছিলো এখন তার সমাধি ঘটেছে। জেগে ওঠা ধু-ধু বালুর চরে অল্প মাত্রার রোদ্র থাকলেও বালুর তাপে অতি প্রখরও তাপমাত্রা আকার ধারণ করে মনে হয় এযেন মরুময়প্রান্তর। কালের আবর্তনে ধীরে ধীরে সে পরিবেশ বদলে গিয়ে নতুন এক উর্বর সমতল ভূমির ন্যয় পরিনত হয়েছে। 
 
 
চাষাবাদের দিন দিন নতুন প্রযুক্তির ব্যবহারে অনুপযুগি বালু চরেই এখন ফসল ফলানোর উর্বর সমতল ভূমির ন্যয় রূপান্তরিত হয়েছে। আর এসব অঞ্চলে প্রযুক্তি ব্যবহারেরেে ত্র কৃষকদের উদ্ভুদ্ধ ও প্রশিন প্রদান করে আসছেন স্থানীয় কৃষি দপ্তর বিভিন্ন এনজিও ও জনকল্যানে সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান গুলো। নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলা টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের তিস্তা নদী বিধৌত দুর্গম চরে গিয়ে দেখা গেছে তিস্তা নদীর জেগে ওঠা বালুর চরে গম, ভুট্টা, বাদাম, পেয়াজ, মরিচ ও মিষ্টি আলুর পাশাপাশি ব্যপক হারে মিষ্টি কুমড়ার চাষাবাদের পাশাপাশি অন্যান্য রবি শষ্য শাক সব্জি চাষাবাদ করা হয়েছে। দূর্গম পথ পেরিয়ে টেপাখড়িবাড়ী বিভিন্ন চর অঞ্চলে গেলে সেখানে বসবাসকারী চরবাসী কৃষকগণ জানান আমরা আগের মত অভাবী নেই। উপজেলা কৃষি বিভাগ, বিভিন্ন এনজিও, পল্লীশ্রী প্রতিক প্রকল্প এবং  জনকল্যানে সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের প্রশিক্ষন ও পরার্মশ গ্রহণ করে নতুন প্রযুুক্তি ব্যবহার কাজে লাগিয়ে তিস্তার জেগে ওঠা বালু চরে ব্যপক হারে রবি শষ্য চাষাবাদ করে আনেকাংশে সাবলম্বী হয়েছি।
 অভাব নামের অভিশপ্ত রোগটি চিরতরে বিদায় নিয়েছে। তাদের আর কোন অভাব নেই। কথা হয় ঐ চরের বাসিন্দা মোছাঃ সাহের বানু (৪৫) এর সাথে তিনি জানান, আমি তিস্তা নদীর বুকে জেগে ওঠা বালু চরে মিষ্টি কুমড়া চাষ করেছি। পর্যাপ্ত পরিমান কুমড়ােে তর পরিচর্যা ও পরিমিত জৈবসার ব্যবহার করেছি। এপর্যন্ত বৃষ্টি না হওয়ায় গাছের গোড়ায় পানি সেচের ব্যবস্থা করেছি। সবমিলিয়ে মিষ্টি কুমড়ার গাছ ডালপালা বৃদ্ধি পেয়ে প্রতিটি ডগায় মিষ্টি কুমড়ার কটক ধরেছে। আশা করছি আবহওয়ার অনুকুলে ও শিলা বৃষ্টি না হলে কুমড়া বিক্রি করে আনেক লাভ করতে পারবো। একই গ্রামের কুমড়া চাষী মোছাঃ আসমা বেগম (৩৮) জানায় আমি তিস্তা নদীর চরে জেগে ওঠা বালুতে মিষ্টি কুমড়া আবাদ করেছি গাছে প্রচুর পরিমান ধরেছে। আশা করছি বাজারে কুমড়া বিক্রি করে আনেক টাকা পাবো।

  ঐ গ্রামের মোছাঃ পারভিন আক্তার (৪০) জানান জেগে ওঠা বালুর চরে মিষ্টি কুমড়ার চাষ করে তার কুমড়াতে প্রতিটি জোড়া ডোগায় কুমড়ার ধরেছে। অল্প দিনের মধ্যে বাজারে বিক্রি করতে পারবেন। তিনি আরো জানান বাজারে কুমড়ার দাম কয়েক বছরের তুলনায় বেশী প্রতিটি মিষ্টি কুমড়া আকার অনুপাতে ২০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হবে। এ মৌসুমে মিষ্টি কুমড়া বাম্পার ফলন ও বাজারে ভালো দাম থাকায় কুমড়া চাষীরা আনেক খুশি।

Post a Comment

[blogger]

MKRdezign

Contact Form

Name

Email *

Message *

Powered by Blogger.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget