ডিমলায় ৪র্থ শ্রেনীর ছাত্রী ধর্ষন ! আটক-2
মোঃ হাবিবুল হাসান
হাবিব, ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি ঃ নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় ঝুনাগাছ
চাপানী ইউনিয়নে ১১ বৎসরের নাবালিকা ৪র্থ শ্রেনীর ছাত্রী ধর্ষন হয়েছে ।
জানা যায় উত্তর ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়নের ভেষশী পাড়া গ্রামের ০১ নং
ওয়ার্ডের আমির আলীর কন্যা ছদ্ম নাম আক্তার (১১) কে গত ১৭ জানুয়ারী দুপুরে
প্রতিবেশী অটো চালক মোঃ সুজন (১৫), পিতা মোশারফ হোসনে ও ৬ষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্র
মোঃ আলী নুর ওরফে বুল বাদশা (১৪), পিতা আমিনুর রহমান উভয়রে সাং উত্তর
ঝুনাগাছ চাপানী (ভেষশী পাড়া) থানা- ডিমলা, জেলা-নীলফামারীদ্বয় অসৎ চরিতার্ত
হাসিলের উদ্দেশ্যে ছদ্ম নাম আক্তারকে শয়ন ঘরে লইয়া জোর পুর্বক ধর্ষন করে।
ভিকটিমের মা আরজিনা বেগম সংবাদ কর্মীকে বলেন পার্শ্ববর্তী গ্রামের আমার
আত্মীয় সম্পর্কে মামা তইজুল ইসলামের মৃত সংবাদ পেয়ে কন্যাকে বাড়িতে রেখে
পরিবারের সকলে মৃত ব্যক্তির বাড়িতে দেখিতে যাই। এরই সুযোগে পাষন্ড চরিত্রের
দুই যুবক আমার কন্যাকে বাড়িতে একা পেয়ে পালাক্রমে ধর্ষন করে রক্তাক্ত
অবস্থায় রেখে পালিয়ে যায় । আমরা সবাই বিকাল ৪.৩০ মিনিটে টায় বাড়িতে আসিয়া
দেখি আমার কন্যা খুব কান্নাকাটি করিতেছে এবং যৌনাঙ্গ হইতে রক্তক্ষরন হচ্ছে।
আমার কন্যাকে জিজ্ঞাসা করলে সে জানায় সুজন ও আলী নুর জোর পূর্বক আমার এ
কাজ করেছে। পরবর্তীতে আমি সহ আমার স্বামী আমির আলীর তাৎক্ষনিক কন্যাকে
অপরিচিত অটোবাইকে ডিমলা উপজেলা হাসপাতালে আনিয়া ভর্তি করি।
হাসপাতাল সুত্রে
জানা যায় যে, কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান শেষে উন্নত
চিকিৎসার জন্য নীলফামারী সদর হাসপাতালে রেফার্ড করিলেও অবস্থা আশংখাজনক
হওয়ায় পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড
করেন। এবিষয়ে ভিকটিমের ভাই নুর ইসলাম বাদী হয়ে ডিমলা থানায় একটি এজাহার
দাখিল করে। তাৎক্ষনিক ডিমলা থানা পুলিশ এজাহারের দুই ঘন্টার মধ্যেই ওসি
তদন্ত বিশ্বদেব এর নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আলী
নুর কে নিজ বাড়ী থেকে ও সুজনকে তার খালার বাড়ী ঝুনাগাছ চাপানী থেকে
গ্রেফতার করে ডিমলা থানায় নিয়ে আসে। এ বিষয়ে ডিমলা থানার অফিসার ইনচার্জ
মোঃ সিরাজুল ইসলাম জানান, ২০০০ সালের নারী শিশু নির্যাতন দমন আইন
(সংশোধিত)/০৩)৯(৩) ধারায় একটি মামলা করা হয়েছে । যাহা ডিমলা থানার মামলা
নং- ০৯/২২। ১৮ জানুয়ারী সকালে গ্রেফতারকৃতদের জেলা আদালতে প্রেরন করা হয়।
Post a Comment