ডিমলায় রাতে গিয়ে বাল্যবিবাহ বন্ধ করলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়শ্রী রানী রায়। উপজেলার খালিশা চাপানী ইউনিয়নের তালতলা গ্রাম এলাকায় এ বাল্যবিবাহটি বন্ধ করা হয়। এলাকার নির্মল রায়ের কন্যা ডালিয়া চাপানী উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী (ছদ্দ নাম) শাপলা ফুল (১৩) এর সাথে রংপুরের মোমিন পুর নামক এলাকার স্বপন কুমার রায়ের (২৪) এর সাথে বিবাহের আয়োজন করে বলে সংবাদ পান ইউএনও।
রাতেই গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিমলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মফিজ উদ্দিন শেখ, এসআই আবু কালাম, উপজেলা পরিচালনা উন্নয়ন প্রকল্পের সহায়ক বিভা রায়, পেশকার রোকনুজ্জামান রোকন ও উক্ত ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান সরকার সহ ইউএনও হাজির হন ওই বিয়ের বাড়ীতে। বিয়ের বাড়িতে উপস্থিত হয়ে কনে ও বর পক্ষের সকলের সামনে বাল্যবিয়ের কুফল সম্পর্কে এবং সচেতনতামূলক মুক্ত আলোচনা করেন ইউএনও জয়শ্রী রানী রায়।
পরে বাল্যবিবাহের আয়োজন করার অপরাধে ঘটনাস্থলেই ছাত্রীটির পরিবারের কাছে একটি লিখিত অঙ্গিকার নামা নেয়া হয়। যাতে প্রাপ্ত বয়স না হওয়া পর্যন্ত আবার কোন ভাবেই বিয়ে না দেওয়ার হয়। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জয়শ্রী রানী রায় বলেন, বাল্যবিয়ে আমাদের দেশের জন্য একটি অভিশাপ। সচেতনাতার মাধ্যমে বাল্যবিবাহের অভিশাপ থেকে দেশ ও জাতিকে মুক্ত করতে হবে। বাল্যবিবাহের অপরাধে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না, আর বাল্যবিবাহ বন্ধের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
Post a Comment