নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের ঠাকুরগঞ্জ হোসেনের মোড় গ্রামে ধারালো অস্ত্র দিয়ে দ্বিতীয় স্ত্রী মোহছেনা বেগম (৩৫) কে খুন করে পালিয়েছে পাষন্ড স্বামী মোফাজ্জল হোসেন (৫৫)। নিহত মোহছেনা ওই গ্রামের বানার উদ্দিনের মেয়ে। পাষন্ড স্বামী মোফাজ্জল মন্ডল জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলার বালুরঘাট গ্রামের সরু মন্ডলের ছেলে। স্ত্রী হত্যা মামলার প্রধান আসামী স্বামী মোফাজ্জল হোসেন মন্ডল (৫৫) ও তার প্রথম স্ত্রীর সন্তান মুরাদ হোসেন (২০) কে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি ও ঢাকা থেকে গ্রেফতার করেছে ডিমলা থানা পুলিশ।
গ্রেফতাকৃতদের আাদালতে সোপর্দ করা হলে নীলফামারী সিনিয়র চিফ জুটিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মামলার প্রধান আসামীর ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি রেকর্ড শেষে আসামীদের কারাগারে পাঠায়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিমলা থানার ওসি (তদন্ত ) সোহেল রানা, এএসআই আব্দুর রাজ্জাককে সঙ্গে নিয়ে বুধবার (১১-মার্চ) বিকেলে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার পশ্চিম বালিয়াঘাট গ্রামে অভিযান চালিয়ে ওই এলাকার বাসিন্দা মোফাজ্জল হোসেন মন্ডলের প্রথম স্ত্রীর সন্তান ও মামলার ২নং আসামী মুরাদ হোসেন কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন। ২০ বছর আগে মোফাজ্জল নীলফামারীর ডিমলা সীমান্ত দিয়ে মাদকের চোরাকারবারি করার সময় প্রথম স্ত্রীর বিষয়টি গোপন করে মোহছেনাকে বিয়ে করে। মোহছেনা বাবার বাড়িতেই স্বামীকে নিয়ে বসবাস করতো। ডিমলা সীমান্তে চোরাকারবারি বন্ধ হয়ে গেলে মোহছেনার স্বামী জয়পুরহাটে চলে গিয়ে সেখানেই চোরাকারবারি কাজ করতো। মাসে দুই দিনের জন্য স্ত্রীর এখানে এসে আবার জয়পুরহাট ফিরে যেতো। তাদের ১৪ বছর ও ১১ বছরের দুইটি মেয়ে সন্তান রয়েছে।
Post a Comment